
“জন্মের সাথে মৃত্যুর গভীর মিতালী”। আবার অন্যত্র বলা হয়েছে, “জন্মিলে মরিতে হবে, অমর এ বিশ্বে কে কোথা কবে”। তারপর ও কিছু কিছু মৃত্যু আমাদেরকে ভাবিয়ে তোলে, ভাবনায় ফেলে দেয়। “সকল প্রাণীকেই মৃত্যু বরণ করতে হবে” এ অকাট্য সত্যকে বুকে লালন করে মেনে না নেয়ার বিকল্পতা নেই, করণীয় কিছুই নেই।বলছিলাম সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার একজন গণমানুষের নেতা আলহাজ পংকি খান’র কথা।.
যিনি বিগত ১১ই জুন শনিবার সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।তিনির জীবন পর্যালোচনা করলে আমি অন্য একজন মানুষের জীবনের সুস্পষ্ট অনেকগুলি সাদৃশ্যতা খুজে পাই। তাহলে এখানে তা বলা আবশ্যক মনে করি বিধায় তা সম্মানিত পাঠকদের উপহার দেয়া বাঞ্জনীয় হিসেবে তুলে ধরছি। একজন শিক্ষক যিনি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন সোয়া লক্ষ টাকা মাসিক বেতনে।.
এ মহান শিক্ষক ১৯৮৪ সালে সে চাকুরী ছেড়ে নিজ মাতৃভুমিতে ফিরে আসেন মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকা বেতনে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।অত:পর আজীবন শিক্ষকতা পেশায় থেকে পরপারে পাড়ি জমান।ছাত্রজীবনে যিনি বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী ষ্টিপেন হকিং এর ছিলেন ঘনিষ্ট বন্ধু ও রুমমেট। যাঁর নাম হচ্ছে জামাল নজরুল ইসলাম।.
তিনির বন্ধু-বান্ধব,আত্মীয়-স্বজন জিজ্ঞাসা করেছিলেন কেন এতো টাকা বেতন ফেলে অতি অল্প বেতনে চাকুরী করতে দেশে আসলেন। জবাবে তিনি বলেছিলেন, আমি আমার মাতৃভুমি ও বাংলাদেশকে মনে প্রাণে ভালবাসি। তাই চলে আসলাম দেশকে কিছু দিতে, নিজের বিবেকবোধের তাড়নায়। .
বলছিলাম সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সভাপতি মরহুম আলহাজ পংকি খান’র কথা (ফিরুজ খান)। প্রবাসী অধ্যুষিত ধনে জনে আলোকিত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সদর ইউনিয়নের জাহার গাঁও গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন ১৯৫২ সালের ৩০শে অক্টোবর মরহুম আলহাজ পংকি খান ওরফে ফিরুজ খান। পিতা আলহাজ হাসন খান ও মাতা মোছা: সোনাবান বিবি দম্পতির কোল আলোকিত করে এ ধরাধামে আগমন করেন।.
আলহাজ পংকি খান ছিলেন অত্যন্ত সুঠাম, সৌম্য, একহারা স্নিগ্ধ,বুদ্ধিদীপ্ত, লম্বাটে একজন নিখাদ দেশ, মানুষ ও সমাজ প্রেমিক বাঙ্গালী। তিনি ছিলেন দেশ ও মানুষের জন্য উৎসর্গিত, আত্মময় মানুষ।তাঁর প্রতিটি চিন্তা-ভাবনা, কর্ম ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য মানুষ ও মানুষের কল্যাণকামী স্বপ্নময় ও প্রাণময় একজন মানুষ।বিশ্বনাথের মাটি ও মানুষের রাজনীতি করে তিনি বিশ্বনাথবাসীর ঋদ্ধ মানুষে পরিণত হন।যে সকল আদর্শ, নীতি ও নৈতিকতা জেনে ও মেনে মানুষ “মানুষরুপে” গড়ে উঠেন সেটি তাঁর মাঝে ছিল অপরিমেয়।সমাজ বিনির্মাণে বাস্তবে যে সকল অন্তরায় বাঁধা হয়ে দাড়ায়, থমকে যায় মানুষ ও সমাজের অগ্রগতি তা স্পষ্ট অনুধাবন করার স্ব-ক্ষমতা তিনির ছিল।.
ছিলেন তিনি স্বল্প, মিষ্টবাসী ও ধীরস্থির প্রকৃতির লোক।হঠাৎ করে যে কোন বিষয়ে সঠিক সিন্ধান্ত ও দুরদৃষ্টি সম্পন্ন মানুষ হিসেবে সমাজে, মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী আসনের অধিকারী মনস্বী মানুষ হয়েছিলেন।যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রমাণ মিলে অকুণ্ঠ ভাবে তিনির জানাজায় লোক সমাগমের সপ্রতিভ বাস্তবতায়।মানুষের আত্ম-জাগরণের পথ নির্দেশক প্রতিভায় হয়েছিলেন প্রতিভু।তিনির জীবনে ছিল গতি ও কর্ম কোলাহলতায় ভরপুর। .
সাদাসিদা সরল মনের মানুষ হলেও বর্ণিল জীবনের তিনি ছিলেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।রাজনীতি, সমাজসেবা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও আর্তমানব সেবায় অসামান্য অবদান রাখায় গড়ে উঠেছিল বিরল এক ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন পরিচিতি।তাই বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে উল্লেখযোগ্য এবং গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্বের পরিচিতি পেয়েছিলেন অনায়াসে।আলহাজ পংকি খান শিক্ষা জীবন শুরু করেন স্থানীয় বিশ্বনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনান্তে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য ভর্তি হন প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ রামসুন্দর অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয়ে।.
সেখানে লেখাপড়া চলাকালীন সময়েই ডাক আসে সুদুর প্রবাসের।তিনি চলে যান স্থায়ী ভাবে বসবাসের নিমিত্তে বৃটেনে।সেখানে কিছুদিন মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজে লেখাপড়া করেন।আসে ১৯৭১ সাল।পাকহানাদার বাহিনী আক্রমণ করে বসে বাংলাদেশে। নির্বিচারে চালায় হত্যাকান্ড।খবর শুনে তারুণ্যের চাঞ্চল্যে হয়ে পড়েন বিচলিত।অন্যান্য তরুণদের সাথে মিলিত হয়ে আক্রান্ত স্বদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের জন্য ফান্ড রাইজিং এ তিনি উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখেন। স্বাধীনতা অর্জিত হলে তিনি কোমর বেঁধে নেমে পড়েন আর্ত-সামাজিক উন্নয়নে।বৃটেনে অবস্থানরত বিশ্বনাথের কয়েকজনের সাথে মিলিত হয়ে গঠন করেন “বিশ্বনাথ প্রবাসী সংঘ”। এ সংগঠনের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন তিনি।.
বিশ্বনাথে স্থাপিত ও প্রতিষ্ঠিত প্রথম বালিকা বিদ্যালয় হাজী মফিজ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন নির্মিত হয় উক্ত সংগঠনের মাধ্যমে।।বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্টের ট্রাস্টি আলহাজ পংকি খান ইতিপূর্বে বিশ্বনাথ প্রবাসী সংঘের এবং বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ওল্ডহাম এরট্রেজারার ছিলেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালে ব্রিটেনে জনমত গঠন ও ফান্ডরাউজিং কমিটির মেম্বার ছিলেন।আলহাজ পংকি খান প্রায় ১৬ বছর বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সক্রিয় সদস্য ছিলেন।.
কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় এক সময় বিশিষ্ট এ সমাজসেবক ২০১০ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে বিপুল ভোটে তিনি বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত এপদেই তিনি বহাল ছিলেন । একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ ও সংগঠক হিসেবে সুখ্যাতি ও সুনাম অর্জন করেন। .
তাছাড়া আলহাজ পংকি খান প্রায় ১২ বছর বিশ্বনাথ উপজেলা সদরস্থ হাজি মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকরে বর্তমানে সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন এবং ১৫বছর বিশ্বনাথ আলিয়া মাদ্রাসার সদস্য ছিলেন তিনি বিশ্বনাথ রামসুন্দর অগ্রগামী উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং বিশ্বনাথ কলেজের প্রতিষ্টাকাল থেকে গভর্ণিং বডির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এছাড়াও তিনি বিশ্বনাথ বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমিটির প্রতিষ্টাতা সেক্রেটারি।.
দীর্ঘদিন থেকে আল এমদাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন নিজ এলাকায় উন্নয়ন মূলক বিভিন্ন কাজেমো.পংকি খান সক্রিয়ভাবে জড়িতথাকতেন তিনি বিশ্বনাথ কলেজ প্রতিষ্টার অন্যতম উদ্যোক্তা ও কলেজের জন্য লন্ডনেফান্ড সংগ্রহের মূল দায়িত্বে ছিলেন বিশ্বনাথ রামসুন্দর অগ্রগামী উচ্চবিদ্যালয় নতুন ভবননির্মান সরকারী অনুদান প্রাপ্তিতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে হাজি মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ভবন নির্মানের জন্য তিনি বিশ্বনাথ “প্রবাসী সংঘের”মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করেন বিশ্বনাথের কালিগঞ্জ জন কল্যান উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলের রাস্তা নির্মানে তিনি এক লাখ টাকা অনুদানপ্রদান করেন এছাড়া আশুগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, আমতৈল আলিয়া মাদ্রাসা ওস্কুল, চান্দভরাং হাইস্কুল, বিশ্বনাথ আলিয়া মাদ্রাসা, বিশ্বনাথ দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসা, বিশ্বনাথ জামেয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা, ছহিফাগঞ্জ এসডি মাদ্রসা ,সৎপুর আলিয়া মাদ্রাসা, মির্জারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছত্তিশসৎপুর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কোনারাই মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভোগশাইল শাহপরান উচ্চবিদ্যালয়, হযরত ওমর ফারুক একাডেমি এবং সরুয়ালা দক্ষিনবিশ্বনাথ বালিকাউচ্চবিদ্যালয় এন্ডকলেজসহউপজেলার অনেকশিক্ষা প্রতিষ্টানে তিনি আর্থিক সাহায্য করেন।.
২০০৯ সালে প্রথম বারের মত ও ২০১৩ সালে দ্বিতীয় বারের মত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন। আলহাজ্ব পংকি খান বিশ্বনাথ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারনসম্পাদক নির্বাচিত হবার পর বিশ্বনাথে প্রথমবারের মত একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগনেন।ব্যক্তিগত ভাবে স্টেডিয়ামের জায়গা ক্রয়ের জন্য ৭ লক্ষ টাকা প্রদান করেন এবং তার নিরলস প্রচেষ্টায় বিশ্বনাথের ধীতপুরে “বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম” নামে বিশ্বনাথে একটি খেলার নিজস্ব মাঠ তৈরি হয়। ইতিমধ্যে স্টেডিয়ামে কিছু অংশে গ্যালারী ,ড্রেসিং রুম ও অতিথিদের জন্য স্থায়ী শেড নির্মাণের ফলে বিশ্বনাথে ক্রীড়াঙ্গনে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।এছাড়া তার সময়কালে বিশ্বনাথ উপজেলা ফুটবল দল একাধিকবার আন্তঃ উপজেলা ফুটবল টুর্নামেন্টে ও অনুর্ধ্ব ১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টে ও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।.
বিশ্বনাথের সর্বপ্রথম আধুনিক মার্কেট আল-হেরা শপিং সিটির চেয়ারম্যান আলহাজ পংকি খান প্রায় ৩ যুগ ধরে রাজনীতি, সমাজসেবা ওআর্ত-মানবতার সেবায় অবদান রেখে নিজ এলাকায় প্রায় ৩ যুগ ধরে রয়েছে নিজস্ব একব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন ইমেজ। সুতরাং আমরা সহজেই বলতে পারি তিনি ছিলেন বেগবান, গতিময়, ক্রমবর্ধমান সদা সক্রিয় এক আত্ম-নিবেদিত মানুষ।তাঁর কর্ম অবশ্যই মননশীল।সুতরাং আমি লেখার সুচনাতেই বলেছিলাম জামাল নজরুল ইসলামের কথা।এখানে কিঞ্চিৎ হলে ও প্রমাণ মিলে আলহাজ পংকি খানের সহিত জামাল নজরুল ইসলামের।.
আলহাজ পংকি খান ও অত্যন্ত আরাম আয়েশের জীবন যাপন, ভোগ বিলাসী জীবন ফেলে এবং তিনির পারিবারিক সকলেই লন্ডনে বসবাস করা সত্তেও তিনি সে সকল বিসর্জন দিয়ে চলে আসেন নিজ জন্মভুমিতে।স্বদেশকে, দেশের মানুষকে ভালবেসে, মানুষের জন্য, দেশের জন্য, এলাকার জন্য কিছু করতে, ভালবাসতে।ভালবাসার সহিত থাকতে হয় সমন্বয় চিত্ত বিত্তের। এখানে এসে যতটুকু সম্ভব সাধ্যমত ততোটুকু দিতে তিনি মোটেই কার্পন্য করেননি।নিরলস কাজ করে গেছেন সমাজ, সামাজিকতা, এলাকা ও আর্তমানবতার কাজে ব্যয়িত করে।পংকি খানের মৃত্যুতে বিশ্বনাথসহ দেশ ও সমাজের যে অপুরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে, তা সহজে পুরণ হবার নয়।বিশ্বনাথবাসী হারিয়েছেন একজন কর্মট রাজনীতিবিদকে, সমাজসেবককে, আর্ত-মানবতার উন্নয়নের এক মহাকর্মীকে। .
আলহাজ পংকি খান বিগত ১১ই জুন শনিবার সন্ধ্যায় সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অনুমান ৭০ বৎসর বয়সে ইন্তেকাল করেন।সমাজসেবক ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আলহাজ পংকি খান’র মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সকলের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।বিশ্বনাথের সকল দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলহাজ পংকি খানের বাড়িতে তিনিকে শেষ নজর দেখার জন্য ভীড় জমান এবং পরদিন বিশ্বনাথ আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে তিনির জানাজায় মানুষের ঢল নামে। .
ব্যক্তিগত জীবনে আলহাজ পংকি খান ছিলেন বিবাহিত।রাহেনা বেগমের সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ৩ পুত্র ও ২ কন্যা সন্তানের ছিলেন এক গর্বিত পিতা।মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্খী এবং শুভানুধ্যায়ী রেখেগেছেন।তিনি ছিলেন একজন খোদা ভীরু লোক।জীবদ্দশায় তিনি সমাজ ও মানুষের জন্য অসামান্য অবদান রাখায় আমি / আমরা তিনির জন্য মহান আল্লাহর দরবারে কায়মন বাক্যে দোয়া করি আল্লাহ যেন তিনিকে বেহেসত নসীব করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবারকে শোক সহিবার তওফিক দান করেন। . .
ডে-নাইট-নিউজ / মিজানুর রহমান মিজান
আপনার মতামত লিখুন: